কোচবিহার, ২৭ এপ্রিল'২১: এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট) কোচবিহার জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য, শিক্ষা, গণআন্দোলন ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম বিশিষ্ট নেতৃত্ব কমরেড কাজল চক্রবর্তী আজ (২৭/৪/২১) ভোর ১ টায় শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।
প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য তথা এ জেলার প্রথম জেলা সম্পাদক প্রয়াত কমরেড সুব্রত চৌধুরীর সংস্পর্শে এসে ১৯৭৪ সালে কমরেড কাজল চক্রবর্ত্তী এ যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ চিন্তানায়ক কমরেড শিবদাস ঘোষের চিন্তাকে জীবনাদর্শ হিসাবে গ্রহণ করে দলের কাজ শুরু করেন।
ভাষা শিক্ষা আন্দোলন, বাস ভাড়া বৃদ্ধি প্রতিরোধ আন্দোলন, ছিটমহল বিনিময়, NRC বিরোধী আন্দোলন সহ জেলায় দলের উদ্যোগে গড়ে ওঠা ও এ জেলার অসংখ্য গণ আন্দোলন ও সামাজিক সাংস্কৃতিক আন্দোলনে নেতৃত্বকারী ভূমিকা পালন করেছেন।
তিনি দীর্ঘদিন BPTA-এর জেলা সম্পাদক ও পরবর্তীতে জেলা সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। মৃত্যুর দিন পর্যন্ত ছিলেন ABECA - র জেলা সম্পাদক। পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন পর্ষদ পরিচালিত বৃত্তি পরীক্ষা পরিচালন কমিটির জেলা সম্পাদক ছিলেন। এ জেলায় ছাত্র আন্দোলন গড়ে তুলতে তাঁর ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। তিনি ছিলেন বিপ্লবী ছাত্র সংগঠন এআইডিএসও এর প্রথম কোচবিহার জেলা সভাপতি।
শহীদ ক্ষুদিরামের মূর্তি নির্মাণ সহ জেলার সামাজিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনে কমরেড কাজল চক্রবর্তী উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছেন।
তিনি "দলই জীবন"- এইভাবে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত দলের সাথে একাত্মতার সংগ্রাম করেছেন। সৎ, নির্ভীক এবং সর্বজন শ্রদ্ধেয় কমরেড কাজল চক্রবর্ত্তীর প্রয়াণে গণতান্ত্রিক শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ ও বিভিন্ন সংস্থা অত্যন্ত শোকাহত হয়েছেন।
সকাল ১০ টায় স্থানীয় পি কে সাহা হসপিটাল থেকে ক্ষুদিরাম স্কোয়ার পর্যন্ত তাঁর শেষ যাত্রায় সামিল হোন দলের কর্মী সমর্থক ও বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ।
ক্ষুদিরাম স্কোয়ারে তাঁর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন দলের রাজ্য কমিটির সদস্য তথা জেলা সম্পাদক কমরেড শিশির সরকার। মাল্যদান করেন জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য কমরেড অসিত দে, নেপাল মিত্র সহ দলের কর্মী সমর্থক ও উপস্থিত নাগরিকবৃন্দ। কোভিড বিধি মেনে শেষ যাত্রা ও প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে কোচবিহার শ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।