রাজনৈতিক সন্ত্রাসের ইতিহাসে বঙ্গে জায়গা করে নিয়েছে কোচবিহার। কোচবিহার জেলায় তুফানগঞ্জ এর মধ্যে অন্যতম। তবে এবার সন্ত্রাসের পাশাপাশি ধর্ষণের মুক্তাঙ্গন হওয়ার দিকে তুফানগঞ্জ।
এক সময় তুফানগঞ্জ মহাবিদ্যালয় অভ্যন্তরে ছাত্রী ধর্ষণে উত্তাল হয়েছিল গোটা বাংলা। আন্দোলনের ঢেউয়ে প্লাবিত হয়েছিল রাজ্য। এখন অবশ্য তা অতীত হলেও, আজ নতুন করে তুফানগঞ্জ পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের এক তৃণমূল পন্থী প্রথম সারির হাইস্কুল শিক্ষক নেতার বিরুদ্ধে নিজের বাড়ির পরিচারিকাকে লাগাতার নাবালিকা বয়স থেকে ধর্ষণের অভিযোগে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে তুফানগঞ্জে। অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম মিজানুর রহমান। প্রথম অবস্থায় তিনি কামাখ্যাগুড়ি হাইস্কুলে ইংরেজি বিভাগে শিক্ষকতা শুরু করেন এবং পরবর্তীতে তিনি সেখান থেকে ট্রান্সফার নিয়ে সম্প্রতি চামটা দেশবন্ধু হাই স্কুল যোগদান করেন। অভিযোগকারিণীর বয়ান থেকে জানা যায় যে তিনি 12 বছর বয়স থেকে অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের বাড়িতে পরিচারিকা হিসেবে কাজ শুরু করেন। পরিচারিকা হিসেবে কাজে যোগদানের সময় কথা হয়েছিল যে তিনি যখন সাবালিকা হবেন তখন তাকে ওই শিক্ষক মিজানুর রহমান বিবাহ দিবেন। কিন্তু দেখা যায় যে অভিযোগকারিণী আঠারো বছর অতিক্রম করলেও তার বিবাহের ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষকের কোনো হেলদোল ছিল না। বিষয়টি ভালো চোখে নেয়নি তরুণীর পরিবার। এইভাবে চলতে চলতে মেয়েটি বর্তমানে 28 বছর বয়স্কা হলেও বিবাহের কোনো বন্দোবস্ত করেননি অভিযুক্ত ঐ শিক্ষক ও তাঁর পরিবার।
এর আগে ওই মেয়েটির পরিবার মেয়েটিকে অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের বাড়ি থেকে ফিরিয়ে আনার বহুবিধ চেষ্টা করেন কিন্তু কোনোভাবেই ওই শিক্ষক সেই মেয়েটিকে তার বাড়ি থেকে ছাড়তে রাজি হননি। পরে ঘটনা পরম্পরায় ঐ তরুণীর কাছ থেকে জানা যায় যে পরিচারিকা হিসেবে কাজে যোগদানের পর থেকেই সংশ্লিষ্ট ওই শিক্ষক নেতা তাঁকে লাগাতার ধর্ষণ শুরু করেন এবং গর্ভ নিরোধক ট্যাবলেট খাওয়ান। পরবর্তীতে বাদী ওই তরুণী সমস্ত ঘটনা অভিযুক্ত শিক্ষকের স্ত্রীকে খুলে বলেন। শিক্ষকের স্ত্রী ঘটনাটি শুনে তরুণীটির উপর অকথ্য অত্যাচার শুরু করেন বলে অভিযোগ। কিন্তু তথাপিও তরুনীটিকে তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করেননি শিক্ষক দম্পতি দ্বয়। উপরন্তু মেয়েটির পরিবার থেকে মেয়েটিকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা যখনই করা হত তখনই নাকি মেয়েটিকে অত্যাচার করা হত। অবশেষে উপায়ন্তর না পেয়ে আজতুফানগঞ্জ থানায় ধলপল 2 নং গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা পেশায় হাইস্কুল শিক্ষক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ জানালেন তরুণী স্বয়ং নিজেই।