দেশ জুড়ে করোনার মারণ কামড়ে অসহায় অবস্থা সাধারণ জনতার। হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। অব্যাহত মৃত্যু মিছিল। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে চলছে কড়া লকডাউন। বাদ নেই আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। লকডাউন জারি না হলেও বর্তমানে যা অবস্থা তাতে অঘোষিত লক ডাউন চলছে। স্তব্ধ কাজ কামাই। একটা বিড়াট অংশের মানুষের হাতে নগদ অর্থের পরিমাণ ফুরিয়ে যেতে চলেছে। বেসরকারী পরিবহণ ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের অবস্থা শোচনীয়। শুধু কি তাই ? ডেইলি লেবার থেকে শুরু করে সমস্ত স্তরের শ্রমিকরাই কাজ হারিয়ে মারাত্মক আর্থিক মন্দার শিকার হয়েছেন।
আর এই বর্তমান অসহনীয় পরিস্থিতির কথা
চিন্তা করে সমাজের কিছু আত্মমর্যাদা সম্পন্ন পরোপকারী হৃদয়বান মানুষের আবির্ভাব হয়েছে।
যারা নিজের জীবনের তোয়াক্কা না করে নিজের মাস মাইনের বেতন থেকে সংসার খরচ নির্বাহ করার পাশাপাশি লকডাউন বিধ্বস্ত মানুষের সাহায্যার্থে এগিয়ে এসেছেন।
এই দুঃসময়ে চরম আর্থিক অভাবে ধুঁকতে থাকা
মানুষ গুলোর পরিবারকে সাহায্য করে অন্যান্যদের উৎসাহ প্রদান করতে পরোপকারী এই সহৃদয়বান
মানুষগুলো সোশ্যাল মিডিয়াকে প্রচারের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করছেন
সম্প্রতি কিছু শিক্ষককেও এই মহতী কর্ম যজ্ঞে সরাসরি মাঠে নামতে দেখা গিয়েছে। তারা একক ভাবে একক উদ্যোগে লক ডাউন বিধ্বস্ত মানুষকে
সাহায্য করে অন্যান্যদের উৎসাহ দিতে সেই সমস্ত
শুভ কাজের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিচ্ছেন।
আর এতে বেজায় চটেছেন দরিয়া বলাই অন্দরান ফুলবাড়ি হাই স্কুলের সহ শিক্ষক নিরুপম রায়। তিনি জনকল্যাণ মূলক কাজের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়ার তীব্র সমালোচনা করেছেন তাঁর একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে।
তিনি এই পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করলে বহু মানুষ তার পোস্টের বিরোধিতা করেছেন। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি নিজেও সমাজ সেবা মূলক কাজ করেন না এবং অন্যদেরও কাজ করতে দেন না।
অনেকে আবার তার পোস্টের কমেন্টে তাকে স্বার্থপর বলে চিহ্নিত করেছেন। তিনি না কি সবসময় বাকা পথেই চলা পছন্দ করেন। তিনি
কখনও কোনো শুভ উদ্যোগকে স্বাগত না জানিয়ে
বরং তা হতাশ করতে সিদ্ধহস্ত থাকেন।
বড় কথা কাউকে কিছু দান করে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করে অন্যকে এই মহান কর্ম যজ্ঞে সামিল করার ঘোরতর বিরোধী তথাকথিত ভাবী ভবিষ্যত গড়ার কারিগর হাই স্কুল শিক্ষক নিরুপম রায়!
কালীবাড়ি নিবাসী সর্পপ্রেমী প্রতিক সরকার কর্তৃক প্রকাশিত নিরুপম রায়ের এই হতাশা ব্যঞ্জক উৎসাহ নাশক পোস্টের স্ক্রীনশটের দেওয়াল সমালোচদের শ্লেষাত্মক ইঙ্গিতবাহী মন্তব্যে ভরে যাচ্ছে। সময় যত গড়াচ্ছে ততই বাড়ছে সমালোচকদের সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের প্রতি তিরস্কার মূলক মন্তব্য বাণ---
লেখক: রমাকান্ত সরকার
(সঞ্চালক, চ্যানেল সেবা বিনোদন)
মো: ৭৯০৮১৯৩৮৪৯