ধলপলে অরুণ বাবুর নেতৃত্বে 11 জন বিজেপির কার্যকরী সদস্য বা পদাধিকারীরা তৃণমূলে যোগদান করার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই পাল্টা 29/30 নং মন্ডল সহসভাপতি যুগল কিশোর দাসের নেতৃত্বে নিজেদের দলীয় পার্টি অফিসে বৈঠক করলো বিজেপি। ধারণা করা হয়েছিল ধলপলে দল পরিবর্তনের ফলে অনেকটাই নিস্তেজ হয়ে যাবে বিজেপি কিন্তু কিসের কি বরং নব উদ্যমে কাজে ঝাঁপিয়ে পরলো ধলপল ০১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বিজেপি নেতৃত্ব।
ধলপলে দীর্ঘ দিন ধরে বিজেপির দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে অন্তর্কলহ লেগেই থাকত। এই অন্তর্কলহের জন্য ধলপল বাজারে বিজেপির দুই গোষ্ঠীর দুটি পার্টি অফিসও ছিল। যা নিয়ে জেলায় বহুবার নালিশও হয়েছিল। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ব্যাপক সাফল্যের পর সুদিনে দলে আসা বিজেপি কর্মীদেরই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হতো বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গিয়েছে।
যার ফলস্বরুপ দুর্দিনে বিজেপি করে আসা যুগলকিশোর দাসের মতো এই নেতাদের বহু ভাবে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছিল। মন্ডল থেকে জেলা নেতাদের রোষানলের শিকার হতে হয়েছিল বহুবার। মচকালেও ভাঙেননি যুগল বাবুর মত দুর্দিনে পোড়খাওয়া বিজেপি নেতারা। আজ পার্টির দুর্দিনে এই নেতাদের গুরুত্ব যে কতখানি তা হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারবে মন্ডল ও জেলা নেতৃত্ব।