রমাকান্ত, ছাটরামপুর,22/10/2021:- "যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো একলা চলো রে" কিন্তু এ চলা তো সেই চলা নয়,এ যে অনন্ত যাত্রায় সামিল হওয়া। মনুষ্য জীবনের এই অনন্ত যাত্রা একবারই হয়। আর এই যাত্রায় আমাদের একাই যেতে হয়,কেউ সঙ্গী হয় না,এটা ধ্রুব সত্য, বাস্তব,শ্বাশত! কিন্তু তারও তো একটা সময় থাকে ? তাই বলে এত তাড়াতাড়ি অনন্ত যাত্রায় পরিমল অধিকারীকে বিলীন হতে হবে, এ বোধহয় স্বপ্নেও কেউ পরিকল্পনাও করতে পারেননি ছাট রামপুর- গুড়িয়ার পাড়ের কেউ।
আজ ভোর পাঁচটায় স্থানীয় এক কাতিমাস উপবাস কারিনী মহিলা নিত্য দিনের মতো সকাল-সকাল পূজার্চনার জন্য ফুল সংগ্রহ করেছিল। এই ফুল সংগ্রহ করার সময় তার বাড়ির কাছে রাস্তার নালায় এক যুবকের মৃতদেহ দেখতে পান। এই মৃতদেহ দেখে তিনি চমকে উঠেন এবং সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য এলাকাবাসীর সঙ্গে ঘটনাটি শেয়ার করলে মুহূর্তে ছাট রামপুর বাজার সংলগ্ন বিষ কুড়ার পাড়ে ঘটনা স্থলে হাজার হাজার জনতার ঢল নামে।
মৃত দেহ দেখার কয়েক মিনিটের মধ্যে পরিচয় পাওয়া যায়। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় যে মৃত ওই ব্যক্তির নাম পরিমল অধিকারী।
সে গুরিয়ার পাড় নিবাসী গজেন্দ্র অধিকারীর মধ্যম ছেলে। 16-17 বছর আগে তিনি বিবাহ করেন। পেশায় পরিমাণ অধিকারী একজন স্বর্ণশিল্পী ছিলেন। বিবাহের পর দাম্পত্য জীবন মধুময় হয়ে উঠলেও অত্যধিক মদ্যপানের জন্য স্ত্রীর সঙ্গে তার ঝামেলা লেগেই থাকত। স্ত্রী গত বছর স্বামীর প্রতি বিরক্ত হয়ে বাপের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে সেখানেই দিন অতিবাহিত করছেন।
বর্তমানে পরিমল অধিকারীর দুটি ছেলে রয়েছে। বড় ছেলে এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। সে তার বাবার সঙ্গেই থাকে এবং আরেকটি ছোট ছেলে মায়ের সঙ্গে পরিমল অধিকারীর শ্বশুর বাড়িতে অর্থাৎ দাদুর বাড়িতেই থাকেন।
হাটু সমান জলে ডুবে পরিমল অধিকারীর মৃত্যুর ধরণ দেখে এলাকাবাসী অনেকেই এই মৃত্যুকে অস্বাভাবিক মৃত্যু এবং পরিকল্পিত খুন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুচবিহার এম.জে.এন হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত জনতার একাংশ সেবা বিনোদনকে জানিয়েছেন যে গতকাল পরিমল অধিকারীর সঙ্গে এলাকার কতিপয় যুবকের ঝামেলা হয় এবং এই ঝামেলা থেকে তাঁকে ঠান্ডা মাথায় খুন করে মৃতদেহ রাস্তার পাশের হাটু সমান জলের ডোবায় ছুঁড়ে ফেলা হয়।