খুব স্বল্প বয়সেই জীবন যুদ্ধের দীর্ঘ ইতিহাসের স্বল্প দীর্ঘ যবনিকার অবসান ঘটালেন সদ্য বিবাহিত শালবাড়ির তরুণ যুবক জিতু পাখাধরা
নাগুরহাট বাজার সন্নিকস্থ শৈলেন পাখাধরার তিন ছেলে। একজন পশ্চিমবঙ্গ পুলিশে কর্মরত, অপর আর এক জন নাগুরহাট বাজারে কাঁচামালের সওদা করেন এবং শেষ জন সম্প্রতি তুফানগঞ্জে সবেমাত্র মুহুরীর কাজ শুরু করেন। প্রভাত পাখাধরার সঙ্গে তিনি কাজ করতেন।
জিতু পাখাধারা অত্যন্ত মিশুক স্বভাবের ছেলে ছিলেন। তিনি গত ফাল্গুন মাসে চন্দিরহাটের এক মেয়ের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
গতকাল আনুমানিক তিন টার সময় তুফানগঞ্জ থেকে বাড়ি ফেরার পথে বাড়ির 200 মিটার দূরত্বেরও খুব কাছের একটি কালভার্টের খাঁড়া বাঁক স্তম্ভে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিজের মোটর সাইকেল দিয়ে নিজেই ধাক্কা মারে।
ধাক্কা লাগার সঙ্গে সঙ্গে বাইক সমেত জিতু পাখাধারা ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পরেন। তাঁর মাথা চৌচির হয়ে যায়। রক্তপাতও হয় মারাত্মক।
দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে,চিকিৎসকরা পরিস্থিতির অবনতি লক্ষ্য করে তাঁকে কোচবিহারে স্থানান্তরিত করেন।
শেষ পর্যন্ত শেষ রক্ষা হল না জিতু পাখাধরার।
মৃত্যুর মুখে ঢলে পরলো জিতু পাখাধরা। আর অল্পকিছুক্ষণ পরেই গ্রামে এসে পৌঁছাবে জিতুর নিথর দেহ।
তাঁর এই অকাল মৃত্যুতে গ্রাম জুড়ে শোকের আবহ বিরাজ করছে।