২০২৪'র লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর বিজেপিতে অপ্রত্যাশিত পতন লক্ষ্য করা যায়। রাজনৈতিক চরিত্র বিনষ্ট করে একদল থেকে জিতে আর এক দলে যোগদান করার হিড়িকে গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যদের মধ্যে রাজনৈতিক অধঃপতন পরিলক্ষিত হয়।
যেটা ২০১৯ এ লোকসভা নির্বাচনেও পরিলক্ষিত হয়েছিল। গত ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে ব্যাপক ফলাফল লাভ করে বিজেপি। আর সেই ফলাফলের প্রভাবে কার্যত কোচবিহার জেলা জুড়ে তৃণমূলের দখলে থাকা অসংখ্য গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে চলে যায়।
অর্থাৎ কোচবিহার জেলায় রাজনৈতিক নেতাদের এই চারিত্রিক অধ:পতন গোটা বাংলায় চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। আর এহেন কারণে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তর থেকে শুরু করে এম.পি লেভেল পর্যন্ত রাজনৈতিক নেতাদের এই ঘনঘন দল পরিবর্তন এবং চারিত্রিক অধঃপতনে কার্যত বেজায় রুষ্ট বাংলা সহ গোটা ভারত বর্ষ।
কিন্তু জনতা জনার্দনের মতামতকে অগ্রাহ্য করে দল পরিবর্তনের এই কদর্য খেলা কোচবিহার জুড়ে এখনো অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে যে সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপি থেকে জিতে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন, এখন তাঁদের অনেকেই আবার ফের বিজেপিতে যোগদান করা শুরু করেছেন।
গতকাল এইরকম একটি দল পরিবর্তনের খেলা ঘটে গেল তুফানগঞ্জ মহকুমার তুফানগঞ্জ ২ নং ব্লকের অন্তর্গত বারোকোদালি ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতে।
বারকোদালি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতটিতে মোট পঞ্চায়েত সদস্য রয়েছেন 18 জন। এর মধ্যে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে বিজেপি 13 টি ও তৃণমূল কংগ্রেস ৫ টি আসনে জয়লাভ করে। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপির ৫ জন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলের যোগদান দেওয়ায় সংশ্লিষ্ট ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের শাসন ক্ষমতা তৃণমূলের দখলে চলে যায়।
গতকাল তৃণমূলে যোগদান দেওয়া সকল বিজেপি গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য ফের বিজেপিতে যোগদান করায় সংশ্লিষ্ট ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের শাসন ক্ষমতা ফের বিজেপির হাতে চলে এল।