কোচবিহার, ২৪ আগস্ট ২০২৫ - আজ কোচবিহার শহর সংলগ্ন পান্থনিবাস এর সুকান্ত মঞ্চে প্রায় দেড় শতাধিক প্রতিনিধি নিয়ে প্রোগ্রেসিভ মেডিক্যাল প্র্যাকটিশনার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া (PMPAI)-এর কোচবিহার জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনের প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ ডাঃ তরুণ মণ্ডল।
সকাল ১১টায় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলনের কাজ শুরু হয়। পতাকা উত্তোলন করেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ডাঃ প্রাণতোষ মাইতি। সম্মেলনে সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক ডাঃ রবিউল আলম-সহ অন্যান্য বক্তারাও বক্তব্য রাখেন।
সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ছিল গ্রামীণ চিকিৎসকদের বিভিন্ন দাবি তুলে ধরা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হল---
* ২০১৫ সালের আগে ও পরে প্র্যাকটিস করা সমস্ত ইনফরমাল হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (IHCP) দের নাম নথিভুক্ত করতে হবে।
* সকল প্র্যাকটিসিং IHCP-দেরকে ব্লক BMOH এর তত্ত্বাবধানে রেজিস্টার্ড ডাক্তার দিয়ে ট্রেনিং এবং ট্রেনিং শেষে সার্টিফিকেট দিতে হবে।
* প্রশিক্ষিত IHCP দেরকে ব্লক মেডিক্যাল অফিসার-এর তত্ত্বাবধানে সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় নিযুক্ত করতে হবে।
* মাথাভাঙ্গা-১ ব্লক এর অশোকবাড়ি ব্লক হাসপাতাল চালু করতে হবে।
* সমস্ত হাসপাতালে ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মী নিয়োগের মাধ্যমে ঘাটতি পূরণ করতে হবে।
ডাঃ তরুণ মণ্ডল বলেন,
"আজ কোচবিহার শহরে পান্থনিবাসে প্রায় দেড়শো প্রতিনিধির উপস্থিতিতে (পিএমপিআই)প্রোগ্রেসিভ মেডিকেল প্র্যাকটিশনার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া সংগঠনের প্রথম জেলা সম্মেলন কোচবিহার শহরে অনুষ্ঠিত হলো। এটা নন-রেজিস্টার্ড মেডিকেল প্র্যাকটিশনার্স বা সরকার যাদের আইএইচসিপি (IHCP) বলছেন' ইনফরমাল হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার,' তাদেরই সংগঠন এবং এটাই পশ্চিমবঙ্গের সব থেকে বড় সংগঠন। পশ্চিমবঙ্গে প্রায় আড়াই থেকে তিন লক্ষ এ ধরনের প্র্যাকটিশনার গ্রামগঞ্জে- শহরে মানুষকে পরিষেবা দিচ্ছেন। ১৯৮২ সাল সংগঠনের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আন্দোলনের ফলে প্রোগ্রেসিভ মেডিকেল প্র্যাকটিশনার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া এই সংগঠন কতগুলো দাবি সরকারের কাছ থেকে আদায় করতে পেরেছে। যেমন,নন -রেজিস্টার্ড মেডিকেল প্র্যাকটিশনার্সদের তালিকাভুক্ত করা, তাদের ট্রেনিং দেওয়া এবং তার ভিত্তিতে সরকারি যে কার্যক্রম রয়েছে স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে, তাতে তাদের ব্যবহার করা, নিয়োগ করা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সরকার ট্রেনিং শুরু করলেও এগুলো অসম্পূর্ণ রয়েছে।
মেডিক্যাল প্র্যাকটিশনার্সদের নানান দাবিতে আমরা মুখ্য স্বাস্থ্য সচিবের কাছে এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে ডেপুটেশন দিয়েছি। আমরা চাই এদের যদি সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারে সরকার এবং ভারত সরকার, তাহলে আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রকল্পগুলিকে নিবিড়ভাবে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে খুব সুবিধা হবে।"
তিনি আরো বলেন, "আজ সম্মেলন শেষে বিপ্লব দেবনাথ কে সম্পাদক এবং প্রদীপ রায় কে সভাপতি করে ৩১ জনের একটি শক্তিশালী কোচবিহার জেলা কমিটি গঠিত হয়েছে। তারা এখানকার এই গ্রামীণ চিকিৎসকদের সমস্যা নিয়ে ভবিষ্যতে আন্দোলন পরিচালনা করবে।
নবনির্বাচিত সম্পাদক বিপ্লব দেবনাথ বলেন, "এই নবগঠিত কমিটি সরকারি ব্যবস্থা সহ গরীব মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবাকে উন্নত করতে এবং গ্রামীণ চিকিৎসকদের অধিকার রক্ষায় কাজ করবে।"