যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অগ্রগতি লাভ করছে সভ্যতা। বিজ্ঞানের অসামান্য আবিষ্কারের ফলে সমাজের প্রতিটি দিক থেকে সমাজ সভ্যতায় বিজ্ঞানের ছোঁয়া লেগেছে। কিন্তু প্রশ্ন হল আমরা কি আধুনিক হতে পেরেছি ? বিজ্ঞানকে কি সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে শিখেছি ? নিজে নিজেকেই প্রশ্ন করুন আপনা থেকেই আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।
ভারত বর্ষ হলো পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র।
এবার তো প্রশ্ন করতেই পারেন তাহলে গণতন্ত্রের প্রহরীরা কারা ? অবশ্যই দেশের সাধারন জনতা।
জনতা কি সত্যিই দেশের প্রহরী ? এই প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেই অনেক ধরনের উত্তর দিবেন। হ্যাঁ, সত্যিই জনতাই দেশের অতন্দ্র প্রহরী। জনতা কাদের দ্বারা পরিচালিত হয় ? নেতাদের দ্বারা।
নেতারা কি সলিট ? নেতারা কি দায়িত্ববান ?নেতারা কি পবিত্র ? নেতারা কি উন্নত আদর্শের চরিত্রে গড়া কারিগর ? তাদের দ্বারা কি আদৌ জ্ঞান বর্তিকা বিস্তার করা সম্ভব ?
এখানেই প্রশ্ন আর এখানেই উত্তর পাওয়ার অপেক্ষা। আর এই প্রশ্নের উত্তর অন্বেষণে আজকের এই লেখনী সঞ্চালকের কলমে।
যখন কোন সংঘর্ষ বা দুর্নীতির ঘটনা ঘটে তখন সেই ঘটনার খবর পরিবেশন করার সময় একজন সাংবাদিক তার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এবং ঘটনার সত্যতা পুনরুদ্ধারের জন্য বিবদমান দুই গোষ্ঠীর বা দুই দলের নেতাদের সাক্ষাৎকার নিয়ে থাকেন।
আর এখানেই সেই চমকপ্রদক ঘটনার সাক্ষী থাকি আমরা। বিবদমান দুই গোষ্ঠীর দুই নেতার বক্তব্য ঠিক এমনেই।
"এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনো কর্মী যুক্ত নয় অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।" অপর পক্ষকে প্রশ্ন করলে ঠিক একই উত্তর পাওয়া যায়। এর বিন্দু মাত্র অন্যথা হয় না।
শুধুই চলে অস্বীকারের পালা। তাহলে স্বীকার করবে কে ? কেউ যদি ভুলেও অন্যায় করে থাকে তা স্বীকার করার সৎ সাহস কারোরেই নেই।
সেই স্বীকার-অস্বীকারের বাকবিতণ্ডার খবর সংবাদ মাধ্যমে ফলাও করে প্রকাশিত হয়।
সত্য চাপা পরে যায়, যার বলি হয় সাধারণ
জনতা। বর্তমানে সাধারণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা যতদিন না সত্য অন্বেষণে নিজেদেরকে আত্মনিয়োগ করবেন ততদিন
সত্য না জেনে মন্তব্য করার জন্য ভুগতে হবে সাধারণ জনতাকে।
আর সাধারণ জনতাও যতদিন না পর্যন্ত সত্য মিথ্যা না বুঝে, কোনো অন্যায়ের ঘটনা দেখেও না দেখার ভান করে চরম মূর্খের মত দেশের ও রাজ্যের তথাকথিত জনপ্রতিনিধি বা নেতাদের অনুসরণ করবেন ততদিন রাজ্য রাজনীতিতে সত্য উদ্ঘাটিত হবে না এবং সমাজ ক্রমশঃ রসাতলে যাবে, যার প্রত্যাঘাত থেকে আমরা কোন দিন রক্ষা পাব না।
তাই সাধু সাবধান। সত্য উপলব্ধি করুন, বাস্তব জীবনে নিজেদের মধ্যে প্রয়োগ করা শুরু করুন।
আপনাদের এই নিরন্তর চেষ্টাই পারে এক সত্য সুন্দর মানবিক সমাজ গড়তে ।
লেখক: রমাকান্ত সরকার
(সঞ্চালক, সেবা বিনোদন)