কোনো এক সভ্য দেশে,সভ্য রাজ্যে অনির্দিষ্টকাল স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকবে। পঠন পাঠন বন্ধ থাকবে। জীবনের গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাগুলিকে মশকরায় পর্যবসিত করে ক্রমাগত তার পড়ুয়াদের নিয়ে হাসি-ঠাট্টা চলতে থাকবে।করোনার দীর্ঘ অবসরে শিক্ষিত,দীক্ষিত জাতি মহান অবসন্ন যাপন কালে এই নিয়ে প্রশ্ন তোলা জরুরি মনে করবে না।
দীর্ঘ,পীড়িত ক্লান্তি জন্ম দিয়েছে আন্দোলন বিমুখতা কেবল নয়,সেই আন্দোলনের পাশটিতেও না থাকার বিস্ময়কর উদ্যমহীনতা। একটি ছাত্র সংগঠনের ছেলেমেয়েরা যে সামান্য অথচ অপরিহার্য দাবিটুকু তুলেছিল,পঠন পাঠন শুরুর আবেদন রেখেছিল তা শাসকের কাছে এতোদূর আতঙ্কের! বিশাল পুলিশ বাহিনী দিয়ে নির্মম প্রহার,জামিন অযোগ্য ধারায় জেলবন্দী,আহতদের ওষুধটুকুও দিতে না দেবার হতবাক বিধান সভ্য মানুষ হিসেবে আমাদের আর লজ্জায় নুব্জ করে না।
আমরা এক রোমাঞ্চকর অসুখ নিয়ে মেতে আছি যেখানে দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে অফিসের হরিপদ কেরানি চমৎকার নির্বিকল্প মজুত করে আছে।
অসুখের সোচ্চার থাবার চেয়েও তার শব্দহীন গ্রাস রোজ খেয়ে ফেলছে আমাদের অবলম্ব মাটি।শিক্ষার অধিকার রক্ষায় মরিয়া যে ছেলেমেয়ে তাদের মুক্তির আহ্বান রাখুন। নইলে একদিন রোগ দেহ ছেড়ে যাবে অবশ্যই, কেবল সভ্যতার দাহকার্যের জন্য ফেলে রেখে যাবে আমাদের সন্ততির অস্থিসার।
লেখক: মৃণাল শতপথি