বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) বলেছে, চীনের ইউহানের পশু বাজার থেকে মানবদেহে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশী। নেচার পত্রিকা সূত্রে জানা যায়, বিজ্ঞানীরা বলছেন - নোবেল করোনা-এর মৌলিক জিনটি করোনা সম্প্রদায়ভুক্ত হলেও তার বিন্যাস অন্যান্য মানব করোনা ভাইরাসের বদলে বাদুড়ের করোনা ভাইরাসের সঙ্গে বেশী মেলে।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে, কোন প্রাকৃতিক নিয়মে বাদুড় থেকে মানুষে এই ভাইরাস এল। কারণ মানুষের সঙ্গে বাদুরের সংস্পর্শ খুবই কম। চীনের নাঙ্কাই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রুয়ান জোশু এবং তাঁর সহ গবেষকরা নভেল করোনার ক্ষেত্রে একটা সাংঘাতিক বিষয় লক্ষ্য করেন। মিউটেশনে রূপান্তরিত ভাইরাসটির প্রায় ৮০ শতাংশ সার্স ভাইরাসের সঙ্গে মেলে। তাহলে কি বাদুর ও মানুষের মধ্যবর্তী কেউ আছে, যে এই রূপান্তর ঘটিয়েছে। এই প্রশ্নের উত্তরে বিজ্ঞান এখনও অন্ধকারে।
অবশ্য অনেকে বলেছেন, প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়ায় এই ধরনের ভাইরাস প্রকৃতিতে আসছে। অর্থাৎ প্রকৃতিতেই এই ভাইরাস ছিল।
আমেরিকা অবশ্য দাবী করেছে, চীন গবেষণাগারে এই ভাইরাস তৈরি করেছে। আমেরিকা বহু আগেই জীবানু যুদ্ধের জন্য গবেষণাগারে ক্ষতিকারক জীবাণু তৈরি করেছে। ভিয়েতনামে তা প্রয়োগও করেছে। তাই আমেরিকার পক্ষে এধরনের কথা বলা খুবই স্বাভাবিক । আশ্চর্যের বিষয় ডোনাল্ড ট্রাম্প এ দাবী করলেও তাঁর দেশের গোয়েন্দা সংস্থা সি আই-এর ডিরেক্টর অফ ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, কোভিড কোনভাবেই মানুষের দ্বারা সৃষ্ট বা নিয়মিত ভাবে পরিবর্তিত হয় নি।
নেচার পত্রিকার বিজ্ঞানীরা বলেছেন, প্রোটিনের যে আকশি দ্বারা কোভিড-১৯ মানুষের দেহকোষে গ্রাহক স্থানে (রিসেপ্টর এসিই-২) অতি সুচারুরূপে আবদ্ধ করে সেই প্রোটিন আকশি গবেষণাগারে চটজলদি তৈরি করা সম্ভব নয়। তাছাড়া গবেষণাগারে কেউ মারণাস্ত্র বানাতে চাইলে সে বাদুরের এই নিরীহ মৌলিক জিনটিকেই বা বেছে নেবে কেন?
এটা সত্ত্বেও কেউ কেউ আবার বলেছেন, এই ভাইরাস প্রকৃতিতে প্রাপ্ত নয়, গবেষণাগারে তৈরি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ২০১৮ সালের নোবেল পুরস্কার বিজয়ী, জাপানি চিকিৎসক, বিজ্ঞানী ইমিউলনোলজিস্ট ডঃ তাসাকু হঞ্জো বলেছেন, ".... করোনা ভাইরাস প্রাকৃতিক নয়। যদি এটা স্বাভাবিক হয়, তা হলে এটি পুরো পৃথিবীকে প্রভাবিত করবে না। কারণ প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে বিভিন্ন দেশে তাপমাত্রা ভিন্ন। যদি এটা প্রাকৃতিক হত তবে এটি কেবল মাত্র চীনের সমান তাপমাত্রার দেশ গুলিতে প্রভাবিত করত। পরিবর্তে, এটি সুইজারল্যান্ডের মতো দেশে ছড়িয়ে পড়ে, একইভাবে এটি মরু অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। যদি এটি প্রাকৃতিক হত, এটি ঠাণ্ডা জায়গায় ছড়িয়ে পড়ত, কিন্তু গরম জায়গায় মারা যেত। আমি ৪০ বছর ধরে প্রাণী ও ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করেছি। এটা স্বাভাবিক নয়। এটি তৈরি করা যায় এবং ভাইরাসটি সম্পূর্ণ কৃত্তিম। আমি চীনের উহান ল্যাবরেটরি তে ৪ বছর ধরে কাজ করেছি। আমি এই ল্যাবরটরির সকল কর্মীদের ভাল করে চিনি। করোনা দুর্ঘটনার পর আমি সবাইকে ফোন করেছিলাম, কিন্তু তাঁদের সব ফোন ৩মাসের জন্য মৃত। এখন বোঝা যাচ্ছে যে এই সমস্ত পরীক্ষাগার প্রযুক্তিবিদরা মারা গেছেন। আজ পর্যন্ত আমার সমস্ত জ্ঞান এবং গবেষণার উপর ভিত্তি করে, আমি ১০০% আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে পারি যে করোনা প্রাকৃতিক নয়। এটা বাদুড় থেকে আসেনি। ........চীন তৈরি করেছে। কিন্তু চীন মিথ্যা বলছে এবং এই সত্য একদিন সবার সামনে প্রকাশ পাবে।"