পোশাক বা চিহ্ন নয় শিক্ষাই হোক অগ্রাধিকার | Seba Binodon

 



পোশাক বা চিহ্ন নয় শিক্ষাই হোক অগ্রাধিকার


ভারতবর্ষ ধর্মনিরপেক্ষ দেশ না বলে আমরা গর্ব করিকিন্তু  ধর্মনিরপেক্ষতার আড়ালে আসলে  আমরা এই একুশ শতকেও ধর্মীয় মেরুকরণের আওয়াজ তুলি। শুধু নারী নয় অনেক পুরুষই মেয়েদের ধর্মীয় শৃঙ্খলে বেঁধে রেখে সুখ খুঁজে পায়। অর্থাৎ নারীকে দাবিয়ে রাখার বিপুল প্রয়াস আজও চলে।

 

অন্যদিকে এটাও ঠিক যে হিজাব মুসলিম পিতৃতন্ত্রের নির্মাণ। তাই কর্ণাটকের হিজাব বিতর্ককে কেন্দ্র করে কিছু মুসলিম নারীর বক্তব্য হিজাব আমার ‘চয়েস' তাই হিজাব পড়ায় বাঁধা সৃষ্টি হলে শিক্ষাঙ্গনে পা রাখবো না। এটা যে মুসলিম পিতৃতন্ত্রের মেয়েদের উপর চাপিয়ে দেওয়া বোঝা তা তাদের উপলব্ধি করতে হবে। নিজেরা যদি ধর্মীয় কুসংস্কার থেকে বেড়িয়ে না আসতে পারেতবে শিক্ষাজগৎ থেকে পিছিয়ে এই একুশ শতকেও এই উন্নত সভ্যতার  জ্ঞানের আলো থেকে বঞ্চিতই থাকবে। এই মানসিকতা প্রতিক্রিয়াশীল। তাই পোষাক নয় শিক্ষাই পাক অগ্রাধিকার  হিজাবের প্রশ্নে হিন্দু  নারীদের শাখা সিঁদুরের কথাও বলতে হয়। হ্যাঁ এটাও পিতৃতন্ত্রের নারীর উপর চাপিয়ে দেওয়া শৃঙ্খলের বন্ধন। এখানে প্রশ্ন উঠে আসে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের প্রতি। অনাদিকাল থেকে নারীর উপর চাপিয়ে দেওয়া শৃঙ্খলের বন্ধন এই একুশ শতকেও শিক্ষিত সমাজের কাছে গ্রহণযোগ্য কেন? কেন এই শিক্ষিত পিতৃতান্ত্রিক সমাজের বেশিরভাগ পুরুষেরা ইতিহাস জেনেও তা উপেক্ষা করে? নারী পুরুষ উভয়ের  দক্ষতাতেই সভ্যতার উত্তরণ ঘটেছে। ইতিহাস তাই বলে। আসলে হিন্দু  কিংবা মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের মেয়েরাই তাদের পিতৃতান্ত্রিক সমাজের যাতাকলে পিষ্ট।

 

যে কোন ধর্মীয় পোষাক, রীতি-নীতি মেয়েদের ক্ষেত্রে আজও প্রজোয্য। কিন্তু পুরুষের নয়। অথচ  আমরা মেয়েরা কেউ ভেবে দেখি না, একজন বিবাহিতা নারী তার অঙ্গে যে চিহ্ন বহন করে, একজন বিবাহিত  পুরুষ কি চিহ্ন ব্যবহার করে নারীর জন্য?

 

এই প্রশ্নের উত্তর অজানাই থেকে যাবে।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মন্তব্য দিন

নবীনতর পূর্বতন