কৃষকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে ভুল স্বীকার সেন্ট্রাল ব্যাংক ম্যানেজারের !

খরা বন্যা  ঝড় বৃষ্টি ও তীব্র উষ্ণতায় নাজেহাল হয়ে দেশের কোটি কোটি মানুষের মুখে খাবার তুলে দেন অন্নদাতা কৃষকেরা। এরা চাষ করে বলেই এদের চাষকৃত জমি থেকে উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী খেয়ে আমরা বেচেঁ থাকি। অথচ আজ এই অন্নদাতা  কৃষকেরাই বিভিন্নভাবে উপেক্ষিত। এদের হার হিম করা অসহ্য পরিশ্রমের মূল্য কেউ বুঝতে চায় না।

আলু চাষের জন্য ব্যাংক থেকে কেসিসি লোন সংগ্রহ করতে গিয়ে একেক জন কৃষকের রাতের ঘুম উড়ে যাওয়ার উপক্রম। বিভিন্ন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কৃষকদের সঙ্গে বিমাতৃ সুলভ আচরণ করছেন। কৃষকদের লোনের কথা শুনছেই না ব্যাংক। 

কিন্তু সরকারি চাকুরিজীবীদের লোন দিতে ব্যাংক গুলো চাকুরী জীবীদের সঙ্গে জামাই আদর করছেন। এ যেন তেলা মাথায় তেল দেওয়া।
 অথচ কৃষকদের সঙ্গে যতটা সম্ভব নিকৃষ্টতম আচরণ করা যায়, ব্যাংকগুলো  সেটাই করছেন।

আজ তুফানগঞ্জ মহকুমার বক্সিরহাট ব্লকের শালবাড়ি ১ নং অঞ্চলের অন্তর্গত জনৈক চাষী মণীন্দ্র মন্ডল শালবাড়ি বুড়িবামনির হাটের  সেন্ট্রাল ব্যাংকের শাখায় KCC লোনের আবেদনের জন্য এসে ব্যাংক ম্যানেজারের কাছে তীব্র হেনস্থার শিকার হলেন।

 প্রথম অবস্থায় সংশ্লিষ্ট ওই সেন্ট্রাল ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার KCC ফর্ম জমা নিতে অস্বীকার করেন। পরবর্তীতে কৃষকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা বেধে গেলে ম্যানেজার ফর্ম দুটো জমা করেন এবং ব্যাংকে আসা ওই কৃষককে উদ্দেশ্য করে বলেন যে ব্যাংক কি আপনাদের বাবার সম্পত্তি ? যখন লোন চাইবেন তখনই লোন দিতে হবে ? গ্রাহককে বাপ তুলে তিরস্কারের এই ঘটনায় শালবাড়ি বুড়িবামনীরর হাটের সেন্ট্রাল ব্যাংকের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে বক্সিরহাট ব্লকের ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

অভিযোগ দায়ের করেছেন এ আই কে কে এম এস 'এর তুফানগঞ্জ মহকুমা কমিটির সম্পাদক রমাকান্ত সরকার। 

শালবাড়ি অঞ্চলের ওই কৃষককে তিরস্কারের কথা শুনে রমাকান্ত সরকার ব্যাংকে এসে ম্যানেজারের কাছে কৈফিয়ত চাইলে ম্যানেজার নিজের ভুল স্বীকার করেন এবং বলেন যে তিনি রাগের মাথায় তা ভুল করে বলেছেন।

কিন্তু সংশ্লিষ্ট ওই ব্যাংকের একজন B.C তথা ম্যানেজারের পোষ্য দালাল  দ্বিজেন বর্মন অনর্থক নিগৃহীত কৃষক  এবং কৃষক প্রতিনিধি রমাকান্ত সরকারের সঙ্গে ঝামেলা শুরু করেন।

দ্বিজেন বর্মন নামে সংশ্লিষ্ট ওই ব্যাঙ্কের দালাল বলেন যে ব্যাংকে এসে ব্যাংক ম্যানেজারের কাছে কোনো কৃষক KCC লোনের ব্যাপারে কৈফিয়ত চাইলে তিনি সব সময় ব্যাংক ম্যানেজার হয়ে চাটুকারিতা করবেন।

কিন্তু প্রশ্ন হল, মলিন্দ্র মন্ডল নামে ওই কৃষক সম্পূর্ণ আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ব্যাংকে এসে কেসিসি ফর্ম জমা করেও ব্যাংক ম্যানেজারকে  লোন সংগ্রহের কথা বললে একজন দায়িত্বশীল ব্যাংক ম্যানেজার কি কখনো কোন কৃষকের সঙ্গে এই রকম অযাচিত আচরণ করতে পারেন ?

ব্যাঙ্ক কি আপনার বাবার সম্পত্তি বলে কৃষককে তিরস্কার করার অধিকার ব্যাংক ম্যানেজারকে কে দিয়েছে ?

কৃষকদের ব্যাংকে গিয়ে কৃষি লোন নেওয়ার অধিকার সরকার স্বীকৃত। সেক্ষেত্রে ঋণগ্রহীতা ওই কৃষককে ব্যাংকে জমির খতিয়ান বন্ধক রাখতে হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও অন্নদাতা এই কৃষকদের উপর বাপ তুলে তিরস্কারের অধিকার ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কোথায় পায় ? 

ঠিক যে অধিকার আজকে আস্ফালন করে দেখালো বক্সিরহাট ব্লকের শালবাড়ি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বুড়িবামনীর হাট সেন্ট্রাল ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার !

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মন্তব্য দিন

নবীনতর পূর্বতন