বিলসি,5th Dec.2022, রমাকান্ত: পার্থ জমানায় তাহলে কি শিক্ষাকে তিলে তিলে শেষ করারেই গভীর ষড়যন্ত্র ছিল ? বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন থেকে নিয়োগ পর্যন্ত প্রতি ক্ষেত্রেই রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছিল দুর্নীতির মহা ষড়যন্ত্র।
খোদ কমিশন মারফৎ 183 জন হাই স্কুল শিক্ষক দ্রুত চাকুরি হারাতে চলেছেন। যদিও সি বি আই তদন্তে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ভুয়ো নিয়োগে সংখ্যা 952 জন।
সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে উত্তরোত্তর বাড়তে থাকবে ভুয়ো হাই স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকুরি হারানোর সংখ্যা।
কিন্তু সব থেকে যেটা বড় তাজ্জবের বিষয় সেটা হল বেসরকারি ডি এল এড কলেজ এমনকি বেসরকারি আইন কলেজের অনুমোদনের ক্ষেত্রেও লাগামহীন দুর্নীতির খবর প্রকাশ্যে এসেছে।
রাজ্যে মোট ডিএলএড কলেজের সংখ্যা ৬৫৬
বেসরকারি ডি এল এড কলেজগুলোকে তিন বছর অন্তর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ থেকে বিশেষ অনুমতি নিতে হয়। এছাড়াও অনুমোদন থাকতে হয় ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার্স এডুকেশনের।
এই বেসরকারি কলেজগুলির অনুমোদনের ক্ষেত্রে লক্ষ লক্ষ টাকা উপঢৌকন নেওয়ার অভিযোগ উঠছে মানিক ভট্টাচার্য ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। একজন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী এবং আর এক জন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান।
সুতরাং এ কথা সহজেই অনুমেয় মহামান্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিবিআই তদন্তের সৌজন্যে শিক্ষা আজ হয়তো এক মহা প্রলয়ের (মহাসংকটের) হাত থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পেল।