করোনা ভাইরাস সংক্রমণ - একটি ভিন্ন প্রতিবেদন Part - IV

 



করোনা ভাইরাস সংক্রমণ - একটি ভিন্ন প্রতিবেদন
পর্ব - 
(পূর্বের প্রকাশিতের পর)


COVID-19 এর উপসর্গ হল- মূলত জ্বর, শুকনো কাশি ও ক্লান্তি। এছাড়া সর্দি কাশি, শ্বাসকষ্ট, গলা ব্যথা, ডায়রিয়াও হতে পারে। এরকম হলে 'উপসর্গ যুক্ত আক্রান্ত' বলা হবে।

উপরোক্ত উপসর্গ না থাকলেও আক্রান্ত হতে পারে। যাদের কোনো উপসর্গ নেই বা অসুস্থতার কোন লক্ষণ নেই, তখনও তিনি কোভিদ আক্রান্ত হতে পারেন। সেক্ষেত্রে তাঁকে বলা হবে 'উপসর্গহীন আক্রান্ত'। অবশ্য পরীক্ষা সাপেক্ষেই এটা বলা হবে।

এই ভাইরাসে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল - ভাইরাসটি গোষ্ঠী সংক্রমণ করে। গোষ্ঠী সংক্রমণ হলে একটা মহামারী আকার নেবে। বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের মধ্যে উপরোক্ত উপসর্গগুলো দেখা দেবে।

মোটামুটি এই হল ঘটনা, যা অতি সংক্ষেপে সহজ করে বলবার চেষ্টা হল। এখন প্রশ্ন হল - এই রোগ থেকে রক্ষা করার উপায় কি?

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) অবশ্য বিশ্বের জনগণকে রক্ষা করার জন্য কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলেছে - যা কমবেশি সকল রাষ্ট্রই অনুসরণ করেছে।

ভাইরাস যেহেতু দেহের মাত্র তিনটি অংশ নাক মুখ চোখের ভেজা অংশের মাধ্যমে দেহের ভিতরে প্রবেশ করে তাই প্রথমে নাক মুখ মাস্ক ব্যবহার করে ঢেকে রাখতে বলা হয়েছে। যার ফলে নির্গত ড্রপলেট গুলো বায়ুতে ছড়িয়ে পড়বে না, অপরকেও সংক্রমিত করবে না। উল্লেখিত তিনটি অংশে হাত যাতে না যায় অর্থাৎ স্পর্শ না করে সে দিকে তীব্র নজর রাখতে হবে। তবুও হাত যেতে পারে। এজন্য বারবার হাতকে স্যানিটাইজ করতে বলা হয়েছে। এমনকি বাইরে থেকে ঘরে গেলে জামাকাপড় ধুয়ে পরিষ্কার রাখতে বলা হয়েছে।

এর পাশাপাশি বলা হয়েছে, যেহেতু ড্রপলেট ৬ ফুট পর্যন্ত ভেসে বেড়াতে পারে তাই একে অপরের সঙ্গে ৬ ফুট ব্যক্তি দূরত্ব বজায় রেখে চলতে বলা হয়েছে। প্রথমে অবশ্যই এটাকে 'সামাজিক দূরত্ব' হিসেবে বলা হয়েছিল। পরে 'ব্যক্তি দূরত্ব' বলা হচ্ছে।

আরও পড়ুন  

পর্ব - ৩

এখন প্রশ্ন হল, মাটিতে বা কোন বস্তুতে ড্রপলেট পড়লে সে ক্ষেত্রে করণীয় কি হবে? ভাইরাস তো নির্জীব, সে তো ঐ অবস্থায় থাকবে। তাহলে তাঁকে ধ্বংস করতে হলে রাস্তাঘাট, বাড়িঘর সবই জীবাণুমুক্ত করার উদ্দেশ্যে স্যানিটাইজ করতে হবে।

সংক্রমণ ঠেকাতে হলে বিদেশ থেকে যাঁরা আসছেন তাদের পরীক্ষা করা, তাদের রোগ মুক্ত করার জন্য করাইন্টেনে রাখা - এসব করার জন্য বলা হল।

এছাড়া গোষ্ঠী সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করার কথা বলা হল। সকলকে ঘরেই থাকতে হবে, বাইরে যাওয়া চলবে না। দলবদ্ধ হওয়া যাবে না। বাস, ট্রেন, প্লেন বন্ধ করা হল। সভা-সমাবেশ স্কুল, কলেজ, অফিস-কাছারি, কল-কারখানা, বাজার ঘাট সব বন্ধের আওতায় আনতে বলা হল।

এতো গেল সতর্কতামূলক পদক্ষেপ। তবে এই সতর্কতামূলক পদক্ষেপের পরিণতি আমাদের দেশে কি হল - একটু দেখে নেওয়া যাক।

(ক্রমশঃ)



(লেখক সন্ধানী চক্রবর্তী, মতামত নিজস্ব)



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মন্তব্য দিন

নবীনতর পূর্বতন